
টাকাপে বাংলাদেশের জাতীয় ডেবিট কার্ড
টাকাপে কার্ড হল বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে চালু হওয়া একটি জাতীয় ডেবিট কার্ড। এটি ভিসা, মাস্টারকার্ড ও অ্যামেক্সের মতো আন্তর্জাতিক কার্ড সেবার একটি স্থানীয় বিকল্প। টাকাপে’ কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা যেকোনো স্থানীয় এটিএম থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন, পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেলস মেশিন (POS), ই-কমার্স এবং মার্কেটপ্লেসে লেনদেনে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
টাকাপে’ কার্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- কার্ডটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (NPSB) দ্বারা পরিচালিত হবে।
- কার্ডটি দেশীয় মধ্যস্থতায় চলবে, তাই এতে খরচ কমে আসতে পারে।
- প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক টাকাপে’ কার্ড সেবা চালু করছে।
- কার্ডের আবেদন ফি ৫০০ টাকা এবং বার্ষিক ফি ১০০ টাকা।
টাকাপে’ কার্ডের সুবিধা:
- এটি একটি জাতীয় কার্ড, তাই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও বিনিময় হারের প্রভাব নেই।
- এটি ব্যবহার করা সহজ এবং নিরাপদ।
- এটি সাশ্রয়ী মূল্যের।
টাকাপে’ কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পেতে পারবেন:
- নিরাপদ এবং সুরক্ষিত লেনদেন
- সাশ্রয়ী মূল্যের লেনদেন
- সহজে ব্যবহারযোগ্য
- দেশীয় মধ্যস্থতায় পরিচালিত
টাকাপে’ কার্ড চালুর কারণঃ
- প্রথমত, এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে এখনও অনেক মানুষ ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত। টাকাপে’ কার্ডের মাধ্যমে এই লোকেরা সহজেই আর্থিক সেবাগুলিতে অ্যাক্সেস করতে পারবে।
- দ্বিতীয়ত, টাকাপে’ কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করা সম্ভব হবে। বর্তমানে, অনেক গ্রাহক আন্তর্জাতিক কার্ড সেবার খরচের কারণে সেগুলি ব্যবহার করতে দ্বিধা করেন। টাকাপে’ কার্ডের মাধ্যমে এই খরচ কমে আসবে, যার ফলে আরও বেশি মানুষ এই সেবাগুলি ব্যবহার করবে।
- তৃতীয়ত, টাকাপে’ কার্ডের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে, অনেক ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক কার্ড সেবার কারণে লেনদেন করতে অস্বীকার করেন। টাকাপে’ কার্ডের মাধ্যমে এই সমস্যাটি দূর হবে, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে।
সুতরাং, টাকাপে’ কার্ড চালু করার মূল উদ্দেশ্য হল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি, লেনদেন প্রক্রিয়াকে সহজ ও সাশ্রয়ী করা এবং দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা বৃদ্ধি করা।
এছাড়াও, টাকাপে’ কার্ড চালু করার আরও কিছু কারণ রয়েছে, যেমন:
- দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নতি সাধন করা।
- দেশীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা।
- আন্তর্জাতিক কার্ড সেবার উপর নির্ভরশীলতা কমানো।
টাকাপে’ কার্ড চালু হলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং গ্রাহকদের জন্য লেনদেন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করে তুলবে।