
হাতে বানানো আখের চিনি
আখের চিনি হলো একটি প্রাকৃতিক চিনি যা আখের রস থেকে তৈরি করা হয়। এটি সাধারণত কারখানায় তৈরি চিনির চেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয় কারণ এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিঙ্ক, থায়ামিন, রাইবোফ্লেবিন, ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
আখের চিনির উপকারিতা
- এটি একটি প্রাকৃতিক চিনি যাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে।
- এতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- এটি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
- এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- এটি স্বাভাবিকভাবে মিষ্টি হয় এবং এতে অন্যান্য চিনির মতো রাসায়নিক উপাদান থাকে না।
- এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
আখের চিনির কিছু অসুবিধা
- আখ থেকে উৎপাদিত চিনির কিছু অসুবিধাও রয়েছে। আখ থেকে উৎপাদিত হাতে তৈরি চিনি একটি স্বাস্থ্যকর এবং স্বাদযুক্ত বিকল্প হতে পারে। তবে, এটি পরিশোধিত চিনির চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হতে পারে এবং এতে কিছু পুষ্টি উপাদান থাকতে পারে যা কিছু লোকের জন্য সমস্যাযুক্ত হতে পারে।
আখের চিনির ব্যবহার
আখের চিনি বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মিষ্টি পানীয়, মিষ্টি জাতীয় খাবার, পায়েস, পিঠা, মোয়া, ক্ষীর ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশে আখের চিনির বাজার
বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, ব্রাউন সুগার বর্তমানে খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে বিশ্বে ব্রাউন সুগারের বাজার ছিল ১৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতি বছর পণ্যটির চাহিদা ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে হিসেবে ২০২৯ সালে পণ্যটির বিশ্ববাজার হবে ৩৬ দশমিক ৭৬ মার্কিন ডলার।
উমারা’স ন্যাচার এসেন্স
সম্প্রতি, উমারা’স ন্যাচার এসেন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী হাতে বানানো আখের চিনি বাজারে নিয়ে এসেছে। এই চিনিটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এবং এতে শতভাগ প্রাকৃতিক উপাদান বিদ্যমান।
চিনিটি অনলাইন, অফলাইন ও সুপারশপে পাওয়া যাচ্ছে।
উমারা’স ন্যাচার এসেন্সের আখের চিনির বিশেষত্বঃ
- এটি প্রিমিয়াম গ্রেডের আখের চিনি পাউডার।
- এটি ২০০ বছরের ঐতিহ্যে স্বাধে, ঘ্রাণে ও মানে অতুলনীয়।
- এটি হাইড্রোজ, বোন চারকোল সহ সকল প্রকার ক্ষতিকারক ক্যামিক্যাল মুক্ত।
- এটি রাস্তার ধারে অস্বাস্থ্যকর আঁখের শরবতের বিকল্প।
- এটি গুনগত মান এবং মিষ্টতার কারণে সাধারণ চিনি থেকে পরিমাণে কম লাগে।
- এটি পিঠা, পায়েস, সেমাই, ফিন্নি, সকাল-বিকাল চা ইত্যাদি খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এটি শিশু, বৃদ্ধ এমনকি ডায়াবেটিক আক্রান্ত ব্যক্তিরাও অনায়াসে সেবন করতে পারবেন।
ঐতিহ্যবাহী হাতে বানানো আখের চিনি একটি স্বাস্থ্যকর ও স্বাদযুক্ত বিকল্প। এটি বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে। উমারা’স ন্যাচার এসেন্সের আখের চিনি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এবং এটিতে শতভাগ প্রাকৃতিক উপাদান বিদ্যমান।
লাল চিনি ফুলবাড়িয়া
‘লাল চিনি ফুলবাড়িয়া’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকেও হাতে বানানো আখের চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। আখ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে কৃষকের হাতে উৎপাদিত লাল চিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়ার ঐতিহ্য।
“করলে তৈরী লাল চিনির ক্ষীর, খাওয়ার জন্য পড়ে যায় ভীড়” – এমন প্রবাদের প্রচলন রয়েছে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায়। এই অঞ্চলে দেশ বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরী লাল চিনি তৈরী হয়ে থাকে।
ফুলবাড়িয়ার হাতের তৈরি আখের রসের লাল চিনি তে কোন ক্যামিকেল বা অন্য কিছু ব্যবহার করা হয় না। সরাসরি আখের রস থেকে কৃষকের হাতে তৈরি হয়।