
ডলার প্রতি ১১২ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
প্রবাসীরা ডলার রেমিট্যান্স হিসেবে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠালে আগে প্রতি ডলারে প্রণোদনাসহ পেতেন ১১১ টাকা ৭২ পয়সা। এখন পাবেন প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ২৪ পয়সা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে পাবেন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর সরকার থেকে প্রণোদনা আড়াই শতাংশ হিসাবে পাবেন ২ টাকা ৭৪ পয়সা।
৩ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকিং চ্যানেল ও এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিট্যান্সের বিপরীতে এই হারে টাকা পাওয়া যাচ্ছে।
রেমিট্যান্সের বিপরীতে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের ফি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও, বিদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের অর্থ পাঠাতে ব্যাংক হিসাব পরিচালনায়ও অর্থ খরচ হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ এখনও সর্বোচ্চ।
যে কারণে, রেমিট্যান্সের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসাবে চলে যাচ্ছে। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে। এর বিপরীতে হুন্ডিতে বাড়ছে। হুন্ডিতে ডলারের দামও বেশি পাচ্ছেন। বর্তমানে প্রবাসীরা পাচ্ছেন ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই মাসে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে জানা যায় যে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার।
তবে, সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বেশি আসায় ওইসব ডলার চলে গেছে খোলা বাজারে। এতে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। একইসঙ্গে চাহিদা ও দাম বেড়েছে।

ডলার ও টাকা
বর্তমান রিজার্ভ পরিস্থিতি
গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৮ কোটি ডলার। এরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল (১৩১ কোটি) পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ফলে, আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ নেমে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৭১ কোটি ডলারে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ২ হাজার ৭৬৩ কোটি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ।
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ।