
উইমেন ই-কমার্স এন্টারপ্রেনারশীপ সামিট ২০২৩
উইমেন ই-কমার্স এন্ট্রারপ্রেনারশিপ সামিট ২০২৩ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে। সামিটের মাধ্যমে নারীরা তাদের ব্যবসার সম্ভাবনা প্রসারিত করতে এবং সামাজিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন। এই উদ্দেশ্য নিয়েই রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে ‘উইমেন ই-কমার্স এন্টারপ্রেনারশীপ সামিট (উই সামিট) ২০২৩’। সারাদেশ থেকে আসা ই-কমার্স খাতের সঙ্গে যুক্ত নারী উদ্যোক্তারা এই সামিটে অংশগ্রহণ করছেন।
উই হলো বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে সফল প্ল্যাটফর্ম। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও আত্মমর্যাদা সৃষ্টিতে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উইয়ের মাধ্যমে ১৪ লাখ নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। উই নারীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ‘শি পাওয়ার’ প্রজেক্টের মাধ্যমে ২১টি জেলায় ১০ হাজার ৫০০ নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। ‘হাব পাওয়ার’ প্রজেক্টের মাধ্যমে বাকি ৪৩টি জেলায় আরও ২৫ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
উই প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের বিশ্বব্যাপী তাদের পণ্য পৌঁছে দিতে কাজ করছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সহজলভ্য করতে কাজ করছে।
সামিটের প্রথম দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত ‘মুজিব আমার প্রেরণা’ শীর্ষক তথ্যচিত্র, উইর কার্যক্রম এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শনিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দুটি কর্মশালা ও একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা ১০ নারী ও ১০ নারী উদ্যোক্তাকে ‘জয়ী’ সম্মাননা দেওয়া হবে।